মানবতার ফেরিওয়ালা তুহিন সিদ্দিকী!
নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্যই মানুষের বড় সম্পদ। এ স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মানুষ যায় ডাক্তারের কাছে।
কিন্তু কিছু কিছু চিকিৎসা ব্যবসায়ীদের কবলে পড়ে ভূক্তভোগীরা সর্বস্ব হারিয়ে নাকাল হচ্ছেন। যখন মানুষ সুচিকৎসার আশায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, ঠিক এমন একযুগে ব্যতিক্রম ঘটিয়ে চলছেন তরুন প্রজন্মের উজ্জল নক্ষত্র তুহিন সিদ্দিকী ।
যারা সাধারণ মানুষ গ্রাম থেকে আসে অসহায় মানুষ গরিব দুঃখি চিকৎসা ক্ষেত্রে যাদের ভাল ধারনা নেই কোথায় গেলে কোন চিকিৎসা ভাল পাওয়া যাবে তাদের কাছে তুহিন সিদ্দিকী তুহিন ভাই নামেই পরিচিত।।
তুহিন সিদ্দিকীর পরিচয়ঃ
তুহিন সিদ্দিকীর জন্ম টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর থানার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের কালিয়ান গ্রামে, তিনি এইচি এস সি পাস করেন টাঙ্গাইল কাগমারি কলেজ থেকে এবং অনার্স শেষ করেন ঢাকা কলেজ থেকে।
তুহিন সিদ্দীকীর এমন মহৎ কাজে যোগদানের পেছনের গল্পটা হচ্ছে তার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন, তার বাবা রোড একসিডেন্ট এ মারা যায় সে সময় তার বাবা মুলত সুচিৎসার অভাবে মারা যায়, যা তার হৃদয়কে চরম ভাবে ব্যাথিত করে তার পর থেকেই তার মাথায় অাসে চিৎসার অভাবে কিংবা চিকিৎসার জন্য যেন কোন মানুষ কে জীবন দিতে না হয়।
তুহিন সিদ্দিকীর কাজের অংশ বিশেষ:
সুচিকৎসার মাধ্যমে মানব সেবা করার লড়াই করে যাচ্ছেন। তিনি নিশ্চয়ই মানব সেবায় অতুলনীয়। তুহীন নামটি মানব সেবায় তুলনাবিহীন। সে ১৩ -১৪ বছর সময় ধরে সাধারন মানুষের চিকিৎসা সেবা পেতে সহায়তা করে আসছে,, যারা গ্রাম থেকে বা মফস্বল এলাকা থেকে যারা ঢাকার হসপিটাল গুলো ভাল করে চিনেই না যারা অসহায় গরিব মানুষ টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতেও ভয় পায় তাদের ঢাকায় নিয়ে এসে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করাই তুহীন ভাইয়ের কাজ,, তাড়াও সরকারী হসপাতাল সিট, ভর্তি ব্যবস্থা করা।।
আর এ কাজ গুলো করে দিতে সে কারও কাজ থেকে কোন রকমের ফ্রি বা টাকা নেয় না কোন ধরনের খাবারও কারও কাছ থেকে খান না কেউ কিছু খাওয়ানোর অফার করলে এবং না ছাড়লে সে তার নিজের টাকা দিয়ে খাওয়িয়ে তার অনুরোধ রাখে। ১৪ বছরের মানব সেবার ক্যারিয়ারে কারও কাছ থেকে কোন রকমের টাকা গ্রহনের মাধ্যমে কোন কাজ সে করে না, বিন্যামুল্যে সে তার সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে।
প্রতিদিন সকাল ৮ থেকে শুরু হয় তার ফ্রি চিকিৎসার কাজ ঢাকা মেডিক্যাল পিজি হসপিটাল, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান, কিডনী হসপিটাল, হৃদরোগ হসপিটাল, নিউরো হসপিটাল, শিশু হসপিটাল, সরোয়ার্দি হসপিটাল সহ বিভিন্ন হসপিটালে গিয়ে রোগীদের খোঁজ খবর নিয়ে থাকেন এই তুহীন ভাই। প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ জন রোগীর কাজ করে থাকেন সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত এই কাজই করে করে থাকেন তুহিন ভাই। এক হসপিটাল থেকে অন্য হসপিটালে ছুটে বেড়ায় রোগীর সুবিধা-অসুবিধা জানার জন্য। ঢাকার মধ্য এমন কোন সরকারী হসপিটাল নাই বা ডাক্তার নাই যে তুহিন সিদ্দিকী কে চিনে না। সে মানবতার একজন সফল দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলার রোগীরাই এখন তার দ্বারা উপকৃত।
প্রশ্ন এটা থাকে যে সে সারা দিন বিন্যামুল্যে মানব সেবা করলে তার চলে কেমনে? সে তার সমস্ত খরচ তার বাড়ি থেকে দেয়,, তার বাবা মারা যাওয়ার পর মা একটা সরকারী চাকরী করতো তাছাড়া তার বাড়িতে একটা বিসনেস অাছে সেটা দিয়েই তাদের পরিবার ও সে চলে। তার ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চাইলে সে জানায় ভবিষ্যৎ সব সময়ই সবার অনিশ্চত, কেউ কারও ভবিষ্যৎ বলতে পারবে নাঅ অনেক সম্পদের মালিক হওয়া বা ভোগ বিলাসী জীবনের প্রতি তার কোন অাগ্রহ্ নেই, সে বেঁচে থাকতে চায় মানুষের হৃদয়ে। সে মানুষের হৃদয়ের ভালবাসা চায় বাহিরের লোক দেখানো ভালবাসাতে নয়…..
তাকে কাছ থেকে না দেখলে দুর থেকে চেনা বড় কঠিন। তাকে কেউ কাছ থেকে না দেখলে তার সম্পর্কে অনেক কিছু অজানা থেকে যায়।তিনি কতোটা মানব সেবক এবং নিজেকে মানব সেবায় বিলিয়ে দিতে কার্পণ্য করেননি কখনো। তার মানব সেবা চোখে না দেখলে কাগজের পাতায় লিখে বোঝানো অনেকটাই কঠিন।
তুহিন সিদ্দিকী মানব সেবার ক্ষেত্রে সততার এক উদাহরণ সৃষ্টি করার জন্য নিষ্ঠার সাথে সেচ্ছায় বিন্যামুল্যে চিকিৎসা সেবা করে যাচ্ছেন। তাই সাধারন মানুষ তার হাসপাতালে সুচিকিৎসা সুলভভাবে পাচ্ছে বলেই অগ্রযাত্রার প্রসারতা দিনদিন বেড়েই চলছে।
এমন মহৎ কাজের জন্য তুহিন সিদ্দিকী কে জানাই স্যালুট বাংলার প্রতিটা সমাজে ১ জন করে তুহীন সিদ্দিকীর জন্ম হোক এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।
No comments