‘সাংবাদিক নেতা থেকে জননেতা হলেন শহিদুল ইসলাম - TangailTimes24
  • সংবাদ শিরোনাম

    ‘সাংবাদিক নেতা থেকে জননেতা হলেন শহিদুল ইসলাম

    আব্দুল লতিফ: 

    টাঙ্গাইলের বাসাইলে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কঠোর প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে জনপ্রতিনিধি হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সাংবাদিক নেতা এম শহিদুল ইসলাম। 
    ‘সাংবাদিক নেতা থেকে জননেতা হলেন শহিদুল ইসলাম
    তিনিই সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বাসাইল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

    ক্লিন ইমেজ ও তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা এবং অসাধারণ মিশুক প্রকৃতির কারণেই জনতার হৃদয় জয় করে ‘সাংবাদিক নেতা থেকে জননেতা’তে হয়েছেন তিনি। এতে তার নির্বাচনী এলাকা বাসাইলসহ টাঙ্গাইল জেলার সমগ্র সাংবাদিকদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।

    জীবনে নানা চড়াই-উৎরাই’ পার করে আজকের এই অবস্থানে এসেছেন তিনি। নিজের সংগ্রামী জীবনে নানা সময়ে গরিব-অসহায়, বিপদগ্রস্ত মানুষকে সহযোগিতা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়াঙ্গনে নিজের উপস্থিতি ও সহযোগিতা করার পাশাপাশি নিজের সৃজনশীলতা দিয়ে সাধারণ মানুষের মন জয় তরে নিয়েছেন তিনি। যার প্রমাণ হিসেবে প্রথমবারের মত নির্বাচন করে-ই তিনি বাজিমাত করেছেন। অথচ তাকে এ নির্বাচন থেকে সরাতে নানা কুৎসা রটানো থেকে শুরু করে বহুমুখী ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। কিন্তু তার মেধা ও শ্রমের মূল্য বাসাইলের সাধারণ মানুষ ভোটের মাধ্যমে দিয়ে তাকে বিজয়ী করেছেন।
    শহিদুল ইসলাম বহু সময় ধরে সাধারণ মানুষকে নীরবে একের পর এক করে গেছেন সহযোগিতা। সবার সমস্যায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। নিজের হাজারো কাজ থাকলেও সব উপেক্ষা করে অন্যের উপকারে ছুটে গেছেন সবসময়।

    দেশের করোনা পরিস্থিতে মানুষ যখন কর্মহীন, ঠিক সেই মুহূর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসহায় মানুষদের জন্য অনেক কিছুই করছেন। এইছাড়াও নিজস্ব তহবিল থেকে খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। তাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। সাধারণ মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে কাজ করে চলেছেন অবিরত। প্রকাশ্যে সহযোগিতার পাশাপাশি অনেক পরিবারকে তিনি গোপনে সহযোগিতা করেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতেও তিনি অনেক অবদান রেখেছেন। বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিশুদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। উদীয়মান তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি।

    তার মহত্বের যে চিত্র উঠে এসেছে, তা শুধু সাধুবাদযোগ্যই নয়, অনুসরণযোগ্যও বটে। এই মহত্বের বাসাইলবাসীর মন কেড়ে নিয়েছেন। এছাড়াও একজন শিক্ষিত, কর্মদক্ষ, মানুষের বিপদের আপনজন, সৎ ও সততার উত্তম সমন্বয়, তারুণ্যদীপ্ত সাংবাদিক নেতা শহিদুল ইসলাম। সকল আলোচনা -সমালোচনার উর্ধ্বে থেকে গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে থাকতে এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চমক দিয়েছেন তিনি।
    বাসাইল উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করতে গিয়ে তিনি অনেক নেতাদের চক্ষুশূল হয়েছিলেন। তাকে দমানোর জন্য নানাবিধ ষড়যন্ত্র করা হলেও তার কর্মী, সমর্থক এবং উপকারভোগীরা তাকে ‘আগলে’ রেখেছেন নির্বাচনের মাঠে। কর্মী এবং সমর্থকরা নিজের পকেট থেকে টাকা খরচ করে সাংবাদিক এম শহিদুল ইসলামের জন্য পাড়া- মহল্লায় গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।

    ৫ জুন (বুধবার) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে এম শহিদুল ইসলাম  (মাইক) প্রতীকে ১২ হাজার ৭৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতি›দ্বী সাইফুল ইসলাম (টিউবওয়েল) ১১ হাজার ৩১৯ ভোট, সাদিকুর রহমান খান  (টিয়া পাখি) ১০ হাজার ৪৫৫ ভোট, মো. বিজয় আহম্মেদ (চশমা) ৮ হাজার ৯৫৫ ভোট, নুরুল ইসলাম খান (উড়োজাহাজ) ৭ হাজার ৫৫৬ ভোট, আতিকুর রহমান (বৈদ্যুতিক বাল্ব) ৫ হাজার ৯৯৭ ভোট, এবং মো. মোখছেদ খলিফা (তালা) ৫ হাজার ৭৪৫ ভোট পেয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, বাসাইল প্রেসক্লাবের তিনবারের সাবেক সফল সভাপতি ও দৈনিক আজকের পত্রিকার বাসাইল প্রতিনিধি সাংবাদিক এম শহিদুল ইসলাম ফুলকি ইউনিয়নের  তিরঞ্চ
    গ্রামের আ. রহমানের ছেলে।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728