২’শ বছরের ঈদগাহ মাঠে ১ যুগ পর নামাজ আদায় - TangailTimes24
  • সংবাদ শিরোনাম

    ২’শ বছরের ঈদগাহ মাঠে ১ যুগ পর নামাজ আদায়

    রাইসুল ইসলাম লিটন:


    টাঙ্গাইলের কালিহাতীর বীরবাসিন্দা ও ঘাটাইল উপজেলার ভোজদত্ত ঈদগাহ মাঠ নিয়ে দুই গ্রামবাসীর  দীর্ঘ এক যুগ ধরে ১৪৪ ধারা চলে আসছিল। 

     

    ২’শ বছরের ঈদগাহ মাঠে ১ যুগ পর নামাজ আদায়

    ফলে ২০০ বছরের এ মাঠে প্রায় ১ যুগ ধরে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারছিলেন না ভোজদত্ত ও বীরবাসিন্দা সহ পার্শ্ববর্তী ৭ গ্রামের মানুষ।

    অবশেষে সেই বিরোধের অবসান ঘটিয়ে ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর ও সোমবার (১৭ জুন) ঈদুল আজহার  নামাজ আদায় করেছে এ ৭ গ্রামের মানুষ।

    প্রশাসন ও স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলায় ভোজদত্ত গ্রাম ও কালিহাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী বীরবাসিন্দা গ্রামের অবস্থান। ঈদগাহ মাঠের আধিপত্য  নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয় বিগত ২০১২ সালে। ওই বিরোধ নিষ্পত্তি করতে কালিহাতী ও ঘাটাইল  উপজেলার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের  উপস্থিতিতে ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর বৈঠক বসে।

    বৈঠক শেষে উপস্থিত দুই গ্রামের বাসিন্দারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ওই সংঘর্ষেের ঘটনায় বীরবাসিন্দা গ্রামের আব্দুল গফুর নামে এক ব্যাক্তি খুন হন। সেই কারণে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশংকায় ওই মাঠে ২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর ঈদুল আজহার দিন থেকে উপজেলার ভোজদত্ত ঈদগাহ মাঠে ১৪৪ ধারা জারি করেন স্থানীয়  জেলা প্রশাসন। যা দীর্ঘ এক যুগ ধরে চলমান ছিল।

    স্থানীয়রা জানায়, গত রমজানে বিরোধীয় ওই ঈদগাহে মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, জেলা প্রশাসক কায়সারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারের মধ্যস্থতায় দুই গ্রামের মধ্যে মিমাংসা বৈঠক হয়।

    যা পরে জেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবগত করেন স্থানীয়রা। যার কারনে এ বছর ঈদুল ফিতরে প্রশাসন ওই মাঠে ১৪৪ ধারা জারি থেকে বিরত থাকে। ফলশ্রুতিতে দীর্ঘ একযুগ পর বিরোধীয় দুই গ্রাম সহ আশেপাশের ৭ গ্রামের মানুষ সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছে।

    ২০১২ সালে খুন হওয়া গফুরের ছেলে বীরবাসিন্দা গ্রামের মোস্তফা জানান, দীর্ঘ ১২ বছর পর সকল ভেদাভেদ ভুলে মাঠে নামাজ আদায় করতে পেরে ঈদগাহ মাঠের আওতাভুক্ত ৭ গ্রামের মানুষের সাথে আমিও আনন্দিত।

    ঈদগাহ মাঠের  ইমাম মাওলানা রফিকুল ইসলাম জানান, ‘ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। সকল ভেদাভেদ ভুলে এ এলাকার মানুষ একমত হয়ে ১২ বছর পর একসাথে নামাজ আদায় করার মাধ্যমে ইসলামের সেই শান্তি সৌহার্দের বার্তাই দিয়েছে।’

    উপজেলা বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছোহরাব আলী জানান, কুরবানির ঈদ উপলক্ষে এলাকার মানুষ শান্তিপূর্ণ ভাবে নামাজ আদায় করেছেন। এরকম একটি মহৎ উদ্যোগের অংশীদার হতে পেরে গ্রামবাসীরা নিজেদের খুশিতে আত্মহারা।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728