‘ফসলের নিবিড়তা ও উৎপাদন বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে’..ড. মো. শাহজাহান কবীর
ধনবাড়ী প্রতিনিধি :
ফসলের নিবিড়তা ও উৎপাদন বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে। কৃষিকে আধুনিক বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরের চেষ্টা চলছে।
দুই ফসলি জমিকে তিন ফসল ও তিন ফসলি জমিকে চার ফসলি জমিতে রূপান্তিরিত করা হচ্ছে। ফলে কৃষকরা আগের বেশি লাভবান হচ্ছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে’র মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মো. শাহজাহান কবীর।
ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি বটতলা গ্রামে ধানের জাতঃ বঙ্গবন্ধু ধান ১০০, ব্রি ধান- ১০২, ১০৪ ও ১০৫ মাঠ দিবস ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, ‘ফসলের নিবিড়তা ও উৎপাদন বাড়াতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যা আমাদের খাদ্যনিরাপত্তা ধরে রাখতে বড় ভূমিকা রাখছে। ফলন বাড়ানোর জন্য অনেক উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এখানে যে চারটি ধানের জাত প্রদর্শন করা হয়েছে এগুলো উচ্চফলনশীল এবং এসব ধানের বাজারমূল্যও অনেক বেশি। এখন এক ফসলি জমিতে বছরে দু-তিন ও চার ফসল পাচ্ছেন কৃষকরা। বর্তমানে ধান উৎপাদনের পাশাপাশি অতিরিক্ত ফসল হিসাবে সরিষা চাষে কৃষক আগ্রহী হচ্ছে। ফলে গত বছরের চেয়ে দেশে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
মাঠ দিবসের আয়োজন করে রাইস ফার্মিং সিষ্টমস্ বিভাগ, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুর। সভাপতিত্ব করেন আরএফএস বিভাগ ব্রি গাজীপুরের সিএসও এবং প্রধান ড. মো. ইব্রাহিম। মাঠ দিবসে আরও বক্তব্য দেন, ধান গবেষণার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আমেনা খাতুন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর টাঙ্গাইল খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক মো. কবির হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, সহকারি সম্প্রসার কর্মকর্তা দোলুয়ার হোসেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ, কৃষক আনছার আলী ও হারুন মিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কৃষক-কৃষাণীসহ এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
No comments