কাদেরিয়া বাহিনীর বীরত্ব স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে .....মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক
রাইসুল ইসলাম লিটন:
মুক্তিযুদ্ধ
বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে
কাদেরিয়া বাহিনীর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
মহান মুক্তিযুদ্ধে
টাঙ্গাইলের কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ‘কাদেরিয়া বাহিনী’ সৌর্য-বীর্য ও
অসীম সাহসিকতার জন্য হানাদার বাহিনীর কাছে মুর্তিমান আতঙ্ক হয়ে ওঠে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ভারতে গিয়ে ট্রেনিং নিয়ে অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ
নিয়েছি। আর কাদেরিয়া বাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার
বাহিনীর অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যুদ্ধ করেছে।
ট্রেনিং নিয়ে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ
করা আর শত্রæর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে যুদ্ধ করা কিন্তু এক বিষয় নয়। কাদেরিয়া
বাহিনীর বীরত্বগাথা ওই সময় দেশ-বিদেশে প্রচার ও প্রকাশিত এবং প্রশংসিত
হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সুখে থাকুক ভালো থাকুক এটা বিএনপি চায়
না।
মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান
যারা মানতে পারে না তারাই ভারতীয় পণ্য বর্জনের ¯েøাগান দেয়। যেহেতু
পেঁয়াজের দাম কমেছে, জিনিসপত্রের দাম কমেছে, মানুষ একটু স্বস্তিতে আছে- এখন
তারা ভারতের পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। দেশের মানুষ ভালো থাকুক বিএনপি তা
চায় না।
শনিবার(৩০ মার্চ) বিকালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা বানিয়াফৈরে
মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় ছত্রী সেনা অবতরণের স্থানে স্মৃতিফলক ও
মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স নির্মাণে জায়গা পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের সকল স্মৃতিবিজড়িত স্থান সংরক্ষণের উপর জোর দেন।
এরআগে মন্ত্রী শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের আশেকপুর বাইপাসে কাদেরিয়া বাহিনীর
জাদুঘরের স্থান পরিদর্শনে এসে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। মহান
মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইলের কমান্ডার ইন চীফ ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ
সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের
সহ-সভাপতি মো. ছানোয়ার হোসেন এমপি, যুগ্ম-সম্পাদক তানভীর হাসান ছোট মনির
এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আহমেদ শুভ এমপি, জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল
ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম(ভিপি
জোয়াহের) প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, কাদেরিয়া বাহিনীর সর্বাধিনায়ক
বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম।
No comments