বাসাইলে সূর্যমুখীর হাসিতে হাসছে সোহরাব - TangailTimes24
  • সংবাদ শিরোনাম

    বাসাইলে সূর্যমুখীর হাসিতে হাসছে সোহরাব

    বাসাইল প্রতিনিধি:

    সরিষার চেয়ে সূর্যমুখী চাষে ফলন ভালো হওয়ায় প্রবাস ফেরত কৃষক সোহরাব মিয়া মুখে হাসির ঝিলিক। 

    বাসাইলে সূর্যমুখীর হাসিতে হাসছে সোহরাব

    গত দুই বছর ধরে সূর্যমুখী চাষ করে সফলতা পাওয়ায় এবারও তিনি ৬০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী আবাদ করেছেন। কৃষক সোহবার মিয়া টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। 

    এদিকে, বিগত কয়েক বছর ধরে সরকারিভাবে পরীক্ষামূলক শুরু হলেও এবার অনেক কৃষক বাণিজ্যিক ও নিজ উদ্যোগে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। এবার বাসাইল উপজেলায় ৫০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে।

    জানা যায়, সোহবার মিয়া সৌদি আরবে থাকাকালীন সময়ে প্রায় ১২ বছর ফুলের বাগানে শ্রমিকের কাজ করেছেন। এরপর প্রায় চার বছর আগে তিনি দেশে ফিরে কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে প্রথমে ২৫ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেন। প্রথম বছরেই তিনি সফলতা পান। এরপর দ্বিতীয় বছর ৪০ শতাংশ জমিতে চাষ করেন। এবার তিনি ৬০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। এছাড়াও তিনি পাশাপাশি ধান, পেঁয়াজ, রসুন আবাদ করেছেন। এখন তার জমিতে সূর্যমুখীর বীজ এসেছে। আর মাত্র কয়েকদিন পরই তিনি বীজগুলো কেটে ফেলবেন। এই ৬০ শতাংশ জমিতে তার খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। তিনি ৭০ থেকে ৮০  হাজার টাকার সূর্যমুখীর তৈল বিক্রির প্রত্যাশা করছেন। 

    কৃষক সোহরাব মিয়া বলেন, ‘আমি সৌদিতে থাকাকালীন সময়ে ১২ বছর ফুলের বাগানে কাজ করেছি। পরে দেশে ফিরে তিন বছর ধরে সূর্যমুখীর আবাদ শুরু করেছি। এবার ৬০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছি। সরিষার চেয়ে সূর্যমুখীতে দিগুণেও বেশি লাভ হয়। সরিষার আবাদ করলে ৬০ শতাংশ জমিতে ৫ মণ সরিষা পাওয়া যেতো। আর এই জমিতে সূর্যমুখীর বীজ হবে প্রায় ১৫ মণ। সামনের বছর আরও বেশি জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ করা হবে। আমি সূর্যমুখী চাষে আর্থিকভাবে সফলতা পেয়েছি।’

    উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ উপজেলায় সূর্যমুখীর আবাদ বাড়াতে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি। গত বছরের তুলনায় এবার উপজেলায় সূর্যমুখীর চাষ বেশি হয়েছে। সরিষার চেয়ে সূর্যমুখীর ফলন ভালো হয়।’ 

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলী বলেন, ‘গত অর্থ বছরে উপজেলায় ৫০জন কৃষককে এক কেজি করে সূর্যমুখীর বীজ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সারও বিতরণ করা হয়েছে। এবার উপজেলায় ৫০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। সরিষার চেয়ে সূর্যমুখীতে প্রায় ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি ফলন হয়। দিন দিন উপজেলায় এই সূর্যমুখীর আবাদ বাড়ছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।’ 


    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728