ক্যাপসিকাম আবাদ করে সাড়া ফেলেছেন বাসাইলের আজহারুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিনিধি:
নতুন প্রযুক্তি পল্লী গ্রীণ হাউজের মাধ্যমে চলছে চাষাবাদ। ফলনও এসেছে ভাল। নানা ভিটামিনে ভরা এই সবজির চাষ এলাকায় কৃষকের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকি ইউনিয়নের জশিহাটী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আজহুরুল ইসলাম তালুকদার। তিনি বাসাইলে এই প্রথম বানিজ্যিক ভিত্তিতে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকামের আবাদ শুরু করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছেন তার বাগান দেখতে। অনেকেই অনুপ্রাণিত হচ্ছেন ক্যাপসিকামের বাগান করতে।
অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আজহুরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, জশিহাটী বাজারের পশ্চিমপাশে ৪০ শতাংশ জমিতে পল্লী গ্রীণ হাউজ নির্মাণ করে সেখানে বিদেশী সবজি ক্যাপসিকামের আবাদ শুরু করি। গত বছর প্রথম ক্যাপসিকাম বাগানে ফলন আসা শুরু হয়।গতবছর দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। আবাদের কৌশল না জানার কারণে ও উপরে সেড না থাকায় বৃষ্টিতে ফলন বিপর্যজয় হয়। মাত্র ৫০ হাজার টাকা লাভ হয় আমার। এবার পুরো এলাকা সেড দিয়ে ডাকা থাকার কারণে ভালো ফলন এসেছে।এবছর ৩-৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।আশা করছি বাজার ভাল থাকলে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা লাভ থাকবে।প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম বিক্রি করা যাবে দেড় থেকে দুইশত টাকা করে।
বাসাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান আলী বলেন, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার, কীটনাশকসহ পরিমিত বালাইনাশক প্রয়োগ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
সাইনাস, ইনফেকশন, দাঁতের ব্যথা, মাইগ্রেনের সমস্যাসহ নানা রোগের মহাওষুধ এই ক্যাপসিকামের আবাদ বাড়ানো গেলে একদিকে যেমন পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে অন্যদিকে কৃষকরাও লাভবান হবেন।
No comments