সখীপুরে টানা বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে প্রায় আড়াইশ দোকান
তাইবুর রহমান, সখীপুর:
সখীপুর পৌরশহরের কাঁচাবাজার সড়ক ও এতিমখানা রোড, মসজিদ রোড, মহিলা কলেজ সড়ক, সিকদার বাড়ি সড়কসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক তলিয়ে আশপাশের প্রায় আড়াইশ’ দোকানে পানি উঠেছে ।
এসব দোকানে থাকা চাল, ডাল, আটা ও সারের বস্তাসহ বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । এছাড়া সখীপুরের বেশিরভাগ গ্রামে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বিদ্যুৎ নেই।শুক্রবার সকালে পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সড়ক বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি উঠেছে ওইসব সড়কের পাশে থাকা কমপক্ষে আড়াইশ’ দোকানে।
সখীপুর কাঁচাবাজার সড়কে চাল, ডাল, চিনি, লবনসহ মুদি পণ্য বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম জানান, তার দোকানে অনেকগুলো চালের বস্তা, ডালের বস্তা, চিনির বস্তা পানির নিচে পড়ে আছে।এত আমার প্রায় ২ লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মসজিদ রোডের বই বিক্রেতা নুরুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন বই, খাতা, কাগজসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসামগ্রী রয়েছে ।তার দোকানেও পানি ঠুকেছে । তিনি দোকান থেকে পানি বের করার চেষ্টা করছেন।
সার ও কীটনাশক বিক্রেতা উপজেলার বেতুয়া গ্ৰামের বাবুল মিয়া বলেন,তার দোকানে পানি উঠে ২০ বস্তা সার গলে গেছে। তিনি বিপদ আঁচ করতে পেরে অনেকগুলো সারের বস্তা রাতেই অন্যত্র সরিয়ে ফেলেন।
তিনি জানান, ‘বেশিরভাগ বস্তা সরিয়ে ফেললেও তবুও তার কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সখীপুরে ক্ষতিগ্রস্ত কমপক্ষে আরও ২০জন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, এসব সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ার মূল কারণ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকা।
তারা বলেন, স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি বৃষ্টি হলেই এসব রাস্তা তলিয়ে যায়। কারণ পানি বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। সব পানি আটকে থাকে। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, তেমন পথচারীরাও পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে। তবুও পৌরসভার দায়িত্বশীলদের এ বিষয়ে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না বলে তারা অভিযোগ করেন।
সখীপুর পৌর সভার টানা তিন বারের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ পৌর অঞ্চলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার বিষয়ে বলেন, ড্রেনের ওপর দিয়ে পানি যাচ্ছে। কী পরিমাণ পানি উঠেছে দেখেন । সারা দেশেরই তো একই অবস্থা। এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নিব। আমাদের লোকজন পানি নিষ্কাশন করার জন্য কাজ করছেন।
No comments