টাঙ্গাইলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
রাইসুল ইসলাম লিটন:
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মির্জাপুর হাতেম আলী বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল তালুকদারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। রোববার বেলা ১১ টায় মো. রিয়াজুল জান্নাত মিথুন নামের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও ডিজির প্রতিনিধির কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন তিনি।
রিয়াজুল জান্নাত মিথুন গোপালপুর উপজেলার সুতী দিঘুলীপাড়া গ্রামের মো. মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে।
সংবাদ
সম্মেলনে রিয়াজুল জান্নাত মিথুন অভিযোগ করেন, ২০২২ সালের ২৫ মার্চ থেকে
তিনি ওই বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। চলতি বছরের ১৭
মার্চ ওই বিদ্যালয়ে চারটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রধান
শিক্ষকের আশ্বাসে মিথুন ল্যাব সহকারি পদে আবেদন করেন। পরবর্তীতে প্রধান
শিক্ষক আব্দুল জলিল তালুকদার নিয়োগ নিশ্চিত করতে মিথুনের কাছে ছয় লাখ টাকা
নেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন কারন দেখিয়ে আরও নয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেন ওই প্রধান
শিক্ষক।
মিথুন আরও অভিযোগ করে বলেন, গত ৩ জুন নিয়োগ পরীক্ষা থাকলেও
প্রধান শিক্ষক আগের রাতে প্রশ্নপত্র তার পছন্দের প্রার্থীদের কাছে
হস্তান্তর করেন। পরে বিষয়টি ডিজির প্রতিনিধিকে অবগত করলে পরীক্ষাটি ডিজির
প্রতিনিধি স্থগিত করেন। প্রধান শিক্ষক চারটি ভিন্ন পদের জন্য ৮/৯ জনের কাছ
থেকে প্রায় ৭০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
মিথুন বলেন, আমার কাছ থেকে
কয়েক দফায় ১৫ লাখ টাকা নেয়া হলেও আমাকে চাকরি দেয়া হয়নি। চাকরি না পাওয়ায়
টাকা ফেরত চাইলে প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল তালুকদার আমাকে ছয় লাখ টাকা
প্রদান করেন। বাকি টাকা ফেরত চাইলে তিনি নানাভাবে হুমকি প্রদান করেন। আমার
নয় লাখ টাকা ফেরতসহ প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি
করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে রিয়াজুল জান্নাত মিথুনের স্ত্রী তায়েবা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
নিয়োগ
পরীক্ষার ডিজির প্রতিনিধি টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কানিজ সালমা জানান, দুর্নীতির অভিযোগে নিয়োগ
পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল
তালুকদারের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার
স্ত্রী ফোন রিসিভ করেন।
এ বিষয়ে গোপালপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা
নাজনিন সুলতানা জানান, নিয়োগ হয়েছে ও স্থগিত হয়েছে দুটোই আমি মৌখিকভাবে
জানি। লিখিতভাবে কোন কিছুই জানি না। টাকা নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।
No comments