বাসাইলে স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন
বাসাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার লৌহজং উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী আলিফা খানম জুঁইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় বখাটেসহ জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার মটরা এলাকায় বিদ্যালয়ের সামনে ও ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে এলাকাবাসীর উদ্যােগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আলিফা আক্তার জুঁইয়ের দাদা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাইয়ুম, স্থানীয় বাসিন্দা সাব্বির হোসেন ভেনাস, মুশফিকুর রহমান, আওয়াল, সুলতান, খন্দকার রিন্টু, আলী আজম ও শাহীন দেওয়ান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বখাটে বাঁধনের উত্যক্ত ও অ্যাসিড নিক্ষেপের ভয়
দেখানোর কারণে মেধাবী ছাত্রী জুঁই আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়। এঘটনায়
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ আরও কয়েকজনের প্ররোচনায় জুঁইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান
বলেন, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ নিয়ে মহাসড়কে গাড়ি থামানোর চেষ্টা
করে। পরে তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, উপজেলার লৌহজং উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলিফা খানম জুঁইকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার মাঝে দীর্ঘদিন ধরে বাঁধন ওরফে পিচ্চি বাঁধন উত্যক্ত করে আসছিল। সম্প্রতি উত্যক্তের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। মাঝে মধ্যে ওই ছাত্রীকে অ্যাসিড দিয়ে মুখ জলসে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে গত বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে বখাটে বাঁধনসহ তার পরিবার এবং ওই ছাত্রীসহ তার পরিবারকে ডেকে নেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সেখানে বখাটে বাঁধনকে শাসিয়ে দেওয়া হয়। এসময় ওই ছাত্রীও বেশ অপমানিত হয়। এরপর বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে ফেরার পরপরই ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করে জুঁই। এ ঘটনায় ৩১ আগস্ট ওই ছাত্রীর দাদা বাদী হয়ে বখাটে বাঁধনকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরজু জমাদার, সহকারী শিক্ষক আব্দুল লতিফ ও তাসলিমাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামী করা হয়েছে।
No comments