যে কারনে ভাইকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে কাদের সিদ্দিকী
রাইসুল ইসলাম লিটন:
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে বড় ভাই ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে যাওয়ার কারণ খোলাসা করেছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম। বৃহস্পতিবার(২৪ আগস্ট) বড় ভাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে বঙ্গবীর জাতির পিতার সমাধিতে যান। এ সফর ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নানা রকমের আলোচনা চলছে। এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের দুইশতাধিক নেতাকর্মীর একটি গাড়িবহর সঙ্গে ছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আমি রাজনীতি করতে যাইনি। বঙ্গবন্ধু আমার কাছে রাজনীতির ঊর্ধ্বের মানুষ। সব সময় আমি যে কারণে যাই- এবারও সে কারণেই বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু আমার প্রাণ- আমার অস্তিত্ব। তাঁকে হারিয়ে আমি সব হারিয়েছি- আমি এবং আমার পরিবার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’
বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে একসঙ্গে শ্রদ্ধা নিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকী আমার রক্ত- আমার নেতা। লতিফ সিদ্দিকীর কারণে আমি বঙ্গবন্ধুকে পেয়েছি। আমি আমার জীবনে কাউকে অস্বীকার করি না।’
সে ক্ষেত্রে সফরটি অরাজনৈতিক কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি রাজনৈতিক সফর। তবে আমি রাজনীতি করতে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে যাইনি।’ আগামি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোটে যাচ্ছেন, সফরটি তেমন ইঙ্গিত দেয় কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সেটি পরে বলব, আজ এ পর্যন্তই।’
গত বছরের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। এর পর থেকেই টাঙ্গাইলসহ তাঁর নির্বাচনী এলাকা সখীপুর-বাসাইলে আলোচনা রয়েছে- কাদের সিদ্দিকী আগামি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোটে ভিড়ছেন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরাও একই কথা বলছেন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ২৮-৩০টি প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের বহর নিয়ে ঢাকা থেকে কাদের সিদ্দিকী ও আবদুল লতিফ সিদ্দিকী টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের শতাধিক নেতাকর্মী ওই সফরে অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইলের সংগঠক ও তাঁর বড় ভাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকী নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণের পর ফাতেহা পাঠ করে মোনাজাত করেন। এরপর তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধির পাশে জোহরের নামাজ আদায় করেন। সেখান থেকে সার্কিট হাউসে তাঁরা বিশ্রাম নেন এবং আছরের নামাজ পড়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। সন্ধ্যায় তাঁরা ঢাকা ফেরেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে তাঁরা সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ওই সফরে কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিণী নাসরিন সিদ্দিকী, করটিয়া সা’দত কলেজের সাবেক ভিপি ও ছোট ভাই মুনসুর আল মামুন আজাদ সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতীক, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন কৃষক শ্রমিক জনতালীগের বাসাইল উপজেলা সভাপতি ও বাসাইল পৌর মেয়র রাহাত হাসান টিপু প্রমুখ অংশ নেন।
No comments