জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ এবং সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বৈষম্য দূর করার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি। এসময় শতাধিক শিক্ষক এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে সংগঠনটি। ফলে পল্টন থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সতর্ক অবস্থান নেয়।
একজন শিক্ষক আবুল বাশার মিয়া বলেন, আমাদের এক দফা ও দাবি একটাই- জাতীয়করণ করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।
আরেক আন্দোলনরত শিক্ষক মোজাফফর মিয়া বলেন, আমরা দাবি আদায়ে সকাল থেকে জড়ো হয়েছি। দিনভর এ আন্দোলন চলবে। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
এর আগেও একই দাবিতে একাধিক সংবাদ সম্মেলন করেছে তারা। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পান মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা। তবে একই পাঠ্যক্রমের অধীনে একই সিলেবাসের কাজে নিয়োজিত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। অবসর গ্রহণের পর পেনশন সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয় বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের। এছাড়া গত কয়েক বছর ধরে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ৪ শতাংশ কেটে নেওয়া হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করা হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্মার্ট করতে স্মার্ট শিক্ষক প্রয়োজন। তাই স্মার্ট শিক্ষক পেতে শিক্ষায় বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের বিকল্প নেই।
No comments