গ্রাম্য সালিশে চাচি-ভাতিজার বিয়ে, ইউপি সদস্য গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বগুড়ার শিবগঞ্জে গ্রাম্য সালিশে চাচি-ভাতিজার বিয়ের ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যসহ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত নারীকে বাদী করে থানায় মামলা দায়েরের পর সোমবার রাতে আটজনকে আটক করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার আট-মূল ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান, পশ্চিম জাহাঙ্গিরাবাদ জামে মসজিদের ইমাম শাহিনুর রহমান, ইলিয়াস আলী ফকির, মোজাফফর মন্ডল, তোজাম মন্ডল ও মোজাম্মেল হক। শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ এ তথ্য জানান।
চাচা-ভাতিজার বিয়ে দিয়ে বেত্রাঘাত, ইউপি সদস্যসহ ৬ গ্রেফতার

বগুড়ার শিবগঞ্জে গ্রাম্য সালিশে চাচি-ভাতিজার বিয়ের ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যসহ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত নারীকে বাদী করে থানায় মামলা দায়েরের পর সোমবার রাতে আটজনকে আটক করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার আট-মূল ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান, পশ্চিম জাহাঙ্গিরাবাদ জামে মসজিদের ইমাম শাহিনুর রহমান, ইলিয়াস আলী ফকির, মোজাফফর মন্ডল, তোজাম মন্ডল ও মোজাম্মেল হক। শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ এ তথ্য জানান।

শিবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ওই নারী জানান, তার স্বামী বিদেশে থাকেন। গত শনিবার রাত ১১টার দিকে ভাগ্নে আব্দুল মমিনকে পারিবারিক কোনো কাজে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। এ সময় গ্রামের লোকজন তাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের অভিযোগ এনে সারারাত ওই ঘরে আটকে রাখে। পরদিন সকালে দুজনকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে গ্রামে সালিশ বসায়।

তিনি আরও বলেন, প্রবাসী স্বামীকে সালিশে তালাক দিতে বাধ্য করার পর মসজিদের ইমাম উভয়কে ১০১ বার বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেন। পরে আজাদুল ইসলাম তাকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বেত্রাঘাত করেন। এরপর দুই লাখ টাকা যৌতুক ঠিক করে তার ভাতিজা আব্দুল মমিনকে বিয়ে দিতে বাধ্য করা হয়।

এ বিষয়ে আটমুল ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বলেন, গ্রামে কোনো ঘটনা ঘটলে জনপ্রতিনিধি হিসেবে যেতে হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাটি সমাধানের দায়িত্বও দেওয়া হয় ইউপি সদস্যকে। ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান বেত্রাঘাতের সাথে জড়িত নন। তার নামে মামলা করা ঠিক নয়। আমি জানি না কোন পরিস্থিতিতে সেখানে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এবং ইমাম বেত্রাঘাত করার সিদ্ধান্ত নেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভিকটিম থানায় মামলা দায়েরের পর ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।