টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আ:লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ লোকমান হোসেন
আব্দুল লতিফ:
মানুষ
মরণশীল। কিন্তু কিছু মানুষ তাঁর কাজের মধ্য দিয়ে অমরত্ব লাভ করে।
টাঙ্গাইল-(৩) ঘাটাইল এর কৃতি সন্তান, দানশীল, পরোপকারী সমাজসেবী ও
রাজনীতিবিদ জনাব মোঃ লোকমান হোসেন তেমনি এক ব্যক্তিত্ব; যিনি ছাত্রাবস্থা
থেকে তার যাপিত জীবন মানুষের কল্যানে উজাড় করে দিয়েছেন। ঘাটাইল এর রাজনৈতিক
ও সামাজিক অঙ্গনে জনাব লোকমান হোসেন এক অনন্য ব্যক্তি, যিনি জনসেবাকে
রাজনীতির মাধ্যম হিসেবে গ্রহন করেছেন।
ভালো কাজে দলমত নির্বিশেষে মানুষের
উপকার করাই তাঁর সবচেয়ে বড় গুণ। তার মহৎ গুনাবলীকে যারা হিংসার চোখে
দেখেছেন কিংবা তার কাছের রাজনৈতিক রুদ্ধাচারণকারীরাও স্বীকার করবেন যে,
তিনি মানুষের দুর্দিনে, মানুষের পাশে স্বার্থহীন ভাবে পাশে থাকেন, তাদের
সাধ্যাতীত সহযোগীতা করেন হাসি মুখে। ফলত স্বাভাবিকভাবেই তিনি মানুষের
ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা দুটোই অর্জন করেছেন। ঘাটাইলের রাজনৈতিক ও সামাজিক
অঙ্গনে জনাব লোকমান হোসেন একজন কিংবদন্তী।
টাঙ্গাইল-(৩ ঘাটাইল) আসনে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ
আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ ও সমাজ সেবক আলোক হেলথ
কেয়ার এন্ড ফাউন্ডেশন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উপজেলা আওয়ামী
লীগের সহ সভাপতি মোঃ লোকমান হোসেন। বিভিন্ন মাধ্যমে জনসূত্রে জানা যায়,
তিনি একজন সৎ নির্ভিক ন্যায় নীতিবান লোক। মাঠ পর্যায়ে তার অদম্য নেতৃত্বের
অনেক সুনাম আছে।
তিনি তার নেতা কর্মীদের নিয়ে এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে সকলের
কাছে দোয়া কামনা করছেন। ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে ঘাটাইলের রসুলপুর গরজোনা
পাড়া গ্রামে কৃষক আক্কেল আলী সরকার ও নজোমন নেসা বেগমের ঘরে জন্মগ্রহন
করেন জনাব মোঃ লোকমান হোসেন। ১৯৮৬ সালে মধুপুর শহীদ স্মৃতি হাই স্কুল থেকে
এসএসসি, ১৯৮৮ সালে ঘাটাইলের জিবিজি কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৯০ সালে
ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি, মহাখালী থেকে ফার্মাসিস্ট এবং ১৯৯২ সালে
তেজগাঁও কলেজ থেকে বিএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন।
ছাত্রজীবন
থেকেই জনাব লোকমান হোসেন গরীব দুখি মেহনতি মানুষের সেবায় নিজেকে নিবৃত
রেখেছেন। বর্তমানে তিনি আলোক হেলথ কেয়ার এন্ড ফাউন্ডেশন হাসপাতালের
ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে নিজেকে
ওতপ্রতভাবে জড়িয়েছেন। নিজ দলের নেতৃবৃন্দকে করেছেন সুসংগঠিত।
নেতা হিসেবে
কখনো তার মধ্যে অহংকারের রেশ মাত্র দেখা যায়নি। তাইতো দলের তৃণমূল
নেতাকর্মীদের আস্থার ঠিকানা জনাব মোঃ লোকমান হোসেন। সমাজ সেবায় তিনি
অন্যদের থেকে অনন্য। প্রতি সপ্তাহে ১দিন করে গরিব, দুস্থ ও অসহায় মানুষের
জন্য “ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প” এর আয়োজন করেন আলোক হেলথ কেয়ার এন্ড ফাউন্ডেশন
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ লোকমান হোসেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন
মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও গোরস্থানের জন্য অনুদান প্রদান, স্কুল, কলেজ ও
মাদ্রাসার মেধাবী এবং অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে “বৃত্তি প্রদান” করে
থাকেন। উপজেলার উন্নয়ন কর্মকান্ডে তিনি ওৎপ্রতোভাবে জড়িত।
যেখানে
অনেক বড় বড় সমাজসেবক রাজনীতিবীদ অসহায় মানুষের দ্বারে গিয়ে সহায়তা প্রদানে
কালক্ষেপন করেন সেখানে জনাব লোব লোকমান হোসেন তার মাহানুভবতার পরিচয় দিয়ে
যাচ্ছেন। উপজেলার প্রতিবন্দীদের মাঝে অন্ন, বস্ত্র ও নগদ অর্থ প্রদানসহ,
শীতে অসহায় মানুষের শীত লাঘবের জন্য “শীত বস্ত্র বিতরণ” করে থাকেন এই
জনদরদী সমাজ সেবক ও আওয়ামীলীগের বিশ্বস্ত সৈনিক লোকমান হোসেন।
দলের জন্য
অক্লান্ত ও নিশ্বার্থ ভালোবাসায় একজন সৎ যোগ্য কর্মীবান্ধব রাজনীতিবিদ
লোকমান হোসেন। যিনি বন্যার সময় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য নিজ অর্থে ত্রান
বিতরণ, করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী সময়ে পবিত্র মাহে রমজানে ঘাটাইলের
বিভিন্ন এলাকায় গরিব, দুস্থ, অসহায় সহ সর্ব সাধারনের মাঝে ইফতার বিতরণ এবং
ঈদে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে, “ঈদ সামগ্রী, বস্ত্র ও নগদ অর্থ
বিতরণ করেছেন। জনাব লোকমান হোসেন এলাকার উন্নয়নে সব সময় নিজেকে ব্যস্ত
রেখেছেন।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ও ক্লাবে “আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে “খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ” করেন এই উন্নয়ন
বান্ধব সমাজসেবক। জনগনের সেবা ও উন্নয়ন কর্মকান্ড এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও
জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে টাঙ্গাইল-(৩ ঘাটাইল)
আসনের সার্বিক উন্নয়ন ও এলাকার জনগনের মানোন্নয়নে কাজ করার লক্ষে আসন্ন
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই কর্মীবান্ধব জনদরদী গরীবের বন্ধু ও আওয়ামীলীগের
পরিক্ষিত সৎ যোগ্য ক্লিন ইমেজ বিশিষ্ট জনাব মোঃ লোকমান হোসেন নৌকা মার্কার
মনোনোয়ন প্রত্যাশা করেন।
এ বিষয়ে এমপি পদপ্রার্থী মোঃ লোকমান হোসেনের সাথে
কথা হলে তিনি বলেন আমি জনগণের পাশে থেকে টাঙ্গাইল-৩ ঘাটাইল আসনের উন্নয়নের
অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে চাই। আসন্ন নির্বাচনে আমি আওয়ামীলীগের একজন
প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেলে টাঙ্গাইল-৩ ঘাটাইল আসনে দেশ জাতি, রাষ্ট্রের
সকল কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। উপজেলার বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে কথা
বলে জানা যায় যে, মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে জনাব লোকমান হোসেনের কোন বিকল্প
নেই। তিনি এমপি না হয়েও একজন এমপির থেকেও বেশি জনসেবা করে যাচ্ছেন
নিস্বার্থ ভাবে। এমন একজনকে যদি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা
টাঙ্গাইল-৩ ঘাটাইল আসন থেকে মনোনয়ন দেন তাহলে এএলাকার উন্নয়ন হবে সব থেকে
বেশি আর উপকারভোগী হবে সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে জানা
যায় গরীব দুখি মানুষের সেবায় ১৯৯৮ সালে প্রথম আলোক হেলথ কেয়ার এন্ড
ফাউন্ডেশন হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয় জনাব লোকমান হোসেনের হাত ধরে। ধীরে
ধীরে এর প্রসার ব্যপক আকারে বৃদ্ধি পায়। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সেবা
নিতে আসা কয়েকজন সেবাপ্রার্থীদের সাতে প্রতিবেদকের কথা হলে তারা জানান
আলোক হেলথ কেয়ার এন্ড ফাউন্ডেশন হাসপাতালে কম খরচে অনেক ভালোমানের সেবা
পাওয়া যায়।
গরীব মানুষের জন্য যাদের টাকা পয়সা নাই তাদের জন্য সম্পূর্ন
ফ্রি চিকিৎসা দেয়া হয় এই প্রতিষ্ঠানে। তাছাড়া প্রতিটি জাতীয় দিবস জাতীর
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ও শাহাদাৎ বার্ষিকী, জননেত্রী শেখ
হাসিনার জন্মদিন সহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে আলোক হেলথ কেয়ার এন্ড ফাউন্ডেশন
হাসপাতালে বিনামূল্যে রক্ত পরীক্ষা সহ অন্যান্য পরীক্ষা ও সেবা সম্পূর্ন
ফ্রি করা হয়। এবিষয়ে আলোক হেলথ কেয়ার এন্ড ফাউন্ডেশন হাসপাতালের
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোঃ লোকমান হোসেন
বলেন জনগনের সেবা করাই আমার মূল উদ্দেশ্য, টাকা উপার্জন নয়। বঙ্গবন্ধুর
আদর্শে উজ্জীবিত জননেত্রীর দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরনাই জনসেবা করাই আমার
মুল শক্তি। বিএনপি জামাত জোটের আমলে হামলা-মামলার শিকার রাজপথের এই
বিশ্বস্ত লড়াকু সৈনিক লোকমান হোসেন বলেন শুধু দলের জন্য দলের স্বার্থে
রাজনীতি করি।
দল আমাকে কি দিয়েছে সেটা না ভেবে আমরা দলকে কি দিয়েছি দলের
জন্য কি করতে পেরেছি সেটাই রাজনীতির মুল আদর্শ হওয়া উচিত। জননেত্রী শেখ
হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করতে দলমত নির্বিশেষে নৌকার পক্ষে সবাইকে থাকার
কাজ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি। জনবান্ধব এই নেতা উপজেলায় এতটাই জনপ্রিয়
যে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ বলেন লোকমান সাব বালা মানুষ, তিনি নিজের পকেটের টেকা
দিয়া মাইনসের উপকার করে।
সবার বিপদে আপদে হেরে সবসময় হাসিমুখে সাহায্য
করতে দেখছি। এমন বালা মানুষরে যদি শেখের বেটি আমাগো টাঙ্গাইলের এমপি বানায়
তাইলে আমাগো সব কষ্ট শেষ অইয়া যাইব। জনাব লোকমান হোসেন এতটাই জনপ্রিয় যে
এলাকার ছোট ছোট বাচ্চাগুলোর মুখেও তার কথা শুনা যায়। জনাব লোকমান হোসেন যখন
এলাকার পথে ঘাটে মানুষের খোজ খবর নিতে বের হন তখন এলাকার ছোট ছোট শিশুরা
তাকে দেখে দৌড়ে এসে নানা বাহানা করেন আর এই জনদরদী নেতা কোমলমতি শিশুদের সব
আবদার অবলীলায় পুরন করে দেন। দলীয় মনোনয়নের বিষয় প্রশ্ন করলে সমাজসেবক
লোকমান হোসেন জানান জননেত্রী শেক হাসিনা একজন উন্নয়ন ও গরীব বান্ধব সরকার
প্রধান।
তিনি অবশ্যই গরীবের বন্ধু। আমি আশা করি নেত্রী আমাকে আমার রাজনৈতিক
সামাজিক কর্মকান্ডের উপর বিবেচনা ও মূল্যায়ন করে আস্ন মহান জাতীয়
নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে মনোনয়ন দিয়ে টাঙ্গাইলবাসীর আরো সেবা করার সুযোগ
দিবেন ইনশাআল্লাহ। জয় বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা।
No comments