টাঙ্গাইলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক চুড়ান্ত বরখাস্ত - TangailTimes24
  • সংবাদ শিরোনাম

    টাঙ্গাইলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক চুড়ান্ত বরখাস্ত

     রাইসুল ইসলাম লিটন:


    পেশাগত অসদাচরণ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিলে অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ফজলুল হককে চুড়ান্ত বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি। রোববার বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. আলী হোসেন লিখিতভাবে চুড়ান্ত বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে তাকে সাময়িক বরখাস্তসহ অভিযোগের বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। 
    টাঙ্গাইলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক চুড়ান্ত বরখাস্ত


    একাধিক শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ফজলুল হক এ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করেন। বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের সাথে কোন পরামর্শ ও সমন্বয় না করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করছিলেন। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে তিনি শিক্ষকদের লাঞ্চিত ও অপমানিত করেন। এ ছাড়াও তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তিনি সব সময়  বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা লাগিয়ে রাখতেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কমিটির সদস্য ও অভিভাবকদের নামে থানায় মামলা ও জিডিও করেছিলেন। এতে প্রতিষ্ঠানের সম্মান ক্ষুন্ন হয়। 
     
    পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ফজলুল হককে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। ফজলুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ও পাঁচ সদস্যের অভ্যন্তরীন অডিট কমিটি গঠন করা হয়। তারই ধারা বাহিকতায় পেশাগত অসদাচরণ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২৬ এপ্রিল প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ৩০ মে ১৯ টি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। প্রধান শিক্ষকের ৬ জুন দেয়া জবাব সন্তোষজনক নয়, মিথ্যা ও মনগড়া বলে দাবি করেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি। পরে ১৫ জুন থেকে তাকে চুড়ান্ত বরখাস্ত করেন সভাপতি।

    এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ফজলুল হকের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। 

    বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আলী হোসেন জানান, প্রায় চার বছর আগে ফজলুল হক এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেন। তিনি যোগদানের পর থেকেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ২২ মাস ধরে তিনি শিক্ষককের বেতন আটকে রেখেছে। বিষয়টি নিয়ে অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটি গঠন করা হয়। তিনি কাগজপত্র জমা না দিয়ে উল্টো কমিটির বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন। এ ছাড়াও তিনি আমাকেসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অভিভাবকসহ প্রায় ১২ জনের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন। প্রধান শিক্ষককে নানা অভিযোগে সাময়িক বরখাস্তসহ কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। তার লিখিত জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে চুড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়।



    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728