মির্জাপুরে বৈদ্যুতিক শক সার্কিটে এক নারী নিহত ও কিশোর আহত
মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মির্জাপুর:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক ভবন মালিকের অবহেলায় বৈদ্যুতিক শক সার্কিটে সমলা বেগম (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে পৌর এলাকার বাওয়ার রোডে আমজাদ হোসেনের বাস ভবনের তৃতীয় তলার ছাদে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে রোববার রাতে ওই ভবনে বৈদ্যুতিক শক সার্কিটে মৃদুল নামে অপর এক কিশোর আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হয়। সোমবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য মৃদুলকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সমলা বেগম পৌরসভার বাওয়ার রোডের বিশু মিয়া স্ত্রী।
এ ঘটনায় নিহত সমলার স্বামী বিশু মিয়া ভবন মালিকের অবহেলার অভিযোগ এনে মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, বাওয়ার রোডে বাসিন্দা আমজাদ হোসেনের তৃতীয় তলা ভবনের ছাদ ঘেঁষে হাই ভোল্টেজ বিদ্যুতের লাইন চলে গেছে। সম্প্রতি বিদ্যুতের কয়েকটি খুটি হেলে বৈদ্যুতিক তার ভবন ছুইছুই অবস্থা হয়ে পড়েছে। রোববার রাতে ওই ভবনের ছাদে বাসার ভাড়াটিয়া হাসান মিয়া তার এক বছরের কন্যা সন্তানের জন্মদিন উপলক্ষে এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এউপলক্ষে আশপাশের বাসার লোকজনকে দাওয়াত দেয়া হয়। রাত সোয়া নয়টার দিকে মৃদুলসহ কয়েকজন কিশোর ছাদে ছুটাছুটি করতে থাকে। এক পর্যায়ে হাইভোল্টেজ তারের কাছে গেলে শক সার্কিট হয়ে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ দিকে মৃদুলের আহত হওয়ার খবর জানাজানি হলে সোমবার সকালে নিহত সমলা বেগম কিভাবে মৃদুল বৈদ্যুতিক শক সার্কিটে আহত হলো তা দেখার জন্য ভবনের ছাদে যান। সেখানে তিনিও বৈদ্যুতিক শক সার্কিট হয়ে আহত হন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ভবন মালিক আমজাদ হোসেনের সঙ্গে কথা বলার জন্য তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে বার বার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করননি।
মির্জাপুর পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সালাহ উদ্দিন জানান, হাইভোল্টেজ তারের কাছাকাছি গেলে বিদ্যুতের ফ্লাসিং হয়ে আহত ও নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনী প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
No comments