স্যাংশন মোকাবিলার যোগ্যতা বাংলাদেশের আছে : কৃষিমন্ত্রী
মো. নজরুল ইসলাম:
আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, এ অর্থবছরের বাজেটে কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিনামূল্যে না হলেও অনেক সহযোগিতা (সাবসিডিয়ারী) দিয়ে কৃষির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সহ কম্বাইন্ড হারভেস্টার দেওয়া হচ্ছে। গ্রামীণ ও পল্লী এলাকার মানুষের জীবন-যাত্রার মানোন্নয়ন করার জন্য এই বাজেটকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এবারের বাজেট অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাজেট।
আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ, আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে বাজেট দিয়েছি। আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছি। উন্নত বাংলাদেশ গড়ার দিকে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছি। এ বাজেটের মাধ্যমে এই গতি আরও বেগবান ও গতিময় হবে।
শুক্রবার (২ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর রাণী ভবানী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাজেট বিষয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা গত ১৪ বছর যাবতই বলে থাকেন- এটা উচ্চ বিলাসী বাজেট, অবাস্তব বাজেট, কল্পনা ভিত্তিক বাজেট। কল্পনা ভিত্তিক বাজেট হলে পাঁচ লাখেরও কম অর্থাৎ চার লাখ ৮৪ হাজার কোটি টাকা থেকে জাতীয় আয় ৪৪ লাখ কোটি টাকা হতো না। এটাই প্রমাণ করে প্রতি বছরই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ ও আধুনিক বাংলাদেশ করার লক্ষ্য নিয়ে বাজেট দিয়েছি। সেই লক্ষ নিয়ে অদম্য গতিতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বিদেশি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা বলে বাংলাদেশ অদম্য। অদম্য বাংলাদেশে সকল সূচকে অপ্রতিরোধ্য গতি। আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছি- এই গতিকে আমরা আরও বেগবান করবো। এই বাজেটের মাধ্যমে উন্নয়নকে আরও গতিশীল করবে।
বিরোধী দলকে উদ্দেশ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলীয় নেতারা বলেন, শেখ হাসিনা উচ্চাবিলাসী- তাই উচ্চা বিলাসী বাজেট দিয়েছে। আমরা বলছি- এই বাজেট বাস্তব সম্মত। অতিতে আমরা সফল হয়েছি। আগামী দিনেও এই বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সফল হবো। আগে দেশের মোট আয় ছিল চার লাখ ৮৪ কোটি টাকা, সেটা বেড়ে হয়েছে ৪৪ লাখ কোটি। আগামী বছর আরও বেশি হবে।
বাংলাদেশের আয় আমরা নয় গুণ বৃদ্ধি করেছি। এই বাজেট পাশ হলে দেশের মোট আয় আরও বৃদ্ধি হবে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আমেরিকার ভিসা নীতি ঘোষণায় আওয়ামী লীগ মোটেই বিচলিত নয়। কোন স্যাংশন দিয়ে কেউ দেশের এ উন্নয়ন ব্যাহত করতে পারেব না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ব্যাহত করতে পারবে না। আপনারা যত ধরনের স্যাংশনই দেন- তা মোকাবিলা করার মতো যোগ্যতা বাংলাদেশের আছে।
মধুপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, সাবেক পৌর মেয়র মাসুদ পারভেজ প্রমুখ।
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ ১০০ জন ডাক্তার দিনব্যাপী ১০ হাজারের বেশি রোগীকে সেবা প্রদান করেন।
No comments