জাতীয় করণের দাবিতে টাঙ্গাইলে শিক্ষক নেতাদের মতবিনিময় সভা - TangailTimes24
  • সংবাদ শিরোনাম

    জাতীয় করণের দাবিতে টাঙ্গাইলে শিক্ষক নেতাদের মতবিনিময় সভা

    রাইসুল ইসলাম লিটন :

    শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরিকরণের লক্ষ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয় করণের দাবিতে টাঙ্গাইলে শিক্ষক নেতাদের সাথে কেন্দ্রীয় কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার(১৩ মে) সকালে  শিক্ষক সমিতি জেলা শাখা কার্যালয়ে টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ জেলার শিক্ষক নেতাদের উপস্থিতিতে এ সভার আয়োজন করা হয়। 


    এতে প্রধান অতিথি  ছিলেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সভাপতি অধ্যক্ষ বজলুর রহমান মিয়া। প্রধান বক্তা ছিলেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ।  শিক্ষক সমিতির টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম আল মামুন জুয়েলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মীর মনিরুজ্জামান, মানিকগঞ্জের সভাপতি মো. আনছার আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. বজলুর রহমান, সিরাজগঞ্জের সভাপতি মো. আব্দুল বাকী, সাধারণ সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী প্রমুখ। 

    জাতীয় করণের দাবিতে টাঙ্গাইলে শিক্ষক নেতাদের মতবিনিময় সভা

    বক্তারা জানান, এমপিওভূক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে প্রদান করা হয়। 


    তারা আরও জানান, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাবার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেক শিক্ষক/কর্মচারী টাকা পাওয়ার পূর্বেই অর্থাভাবে বিনা চিকৎসায় মৃত্যুবরণ করছেন। এছাড়া কয়েক বছর যাবৎ কোন প্রকার সুবিধা না দিয়েই অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত চার শতাংশ কর্তন করা হচ্ছে যা অত্যন্ত অমানবিক। তাই অতিরিক্ত চার শতাংশ কর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলসহ অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট অফিস ঘেরাও করতে বাধ্য হয়ে ছিলেন তারা। তারপরও  অদ্যাবধি  বিষয়টির কোন প্রতিকার হয়নি।

     

    টাঙ্গাইলটাইমস/এমএকিউ

    নিউজটি শেয়ার করুন




    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728