সখিপুরে ভূমি জটিলতা নিরসনে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি
তাইবুর রহমান, সখীপুর :
বন বিভাগের সঙ্গে ব্যক্তি মালিকানা ভূমির জটিলতা নিরসনের লক্ষে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে সখীপুর ভূমি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দীন হায়দারের হাতে এ স্মারকলিপি তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম, সখীপুর ভূমি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, সখীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল গফুর, সাবেক অধ্যক্ষ রেনুবর রহমান, হতেয়া কলেজের অধ্যক্ষ রহিজ উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম কাজী বাদল, দাড়িয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী আসিফ, বহুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম মুক্তা প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে সখীপুরের ০৮ মৌজার ডিজিটাল জরিপ শুরুর আগে উপজেলার ৬১ মৌজার বিভিন্ন দাগে বন বিভাগের সঙ্গে ব্যক্তি মালিকানা ভূমির জটিলতা নিরসন করার বিষয়ে একাধিক শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে।
উপজেলা ভূমি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন, ইতোমধ্যে ভূমি মালিকরা ডিজিটাল জরিপ সংক্রান্ত নোটিশ পেয়েছেন। জরিপ কার্যক্রম শুরুর আগে একই দাগে বন বিভাগের সঙ্গে ব্যক্তি মালিকানা ভূমির সীমানা চিহ্নিতকরণ, বন বিভাগ হতে অবমুক্ত হওয়া নয় হাজার ৪৩০ একর ভূমি ব্যক্তি মালিকদের নামে ডিজিটাল জরিপে অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং ৪০ বছর পূর্বে বন আইনে জারিকৃত অকার্যকর ৪ ও ৬ ধারা বাতিল করার দাবি জানান। ডিজিটাল জরিপে সদ্য অকার্যকর ঘোষিত উপজেলার ১৪ মৌজার আরএস স্বত্বলিপি অনুসরণেরও দাবি করেন তিনি।
জানতে চাইলে টাঙ্গাইল জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা শাহীনা আক্তার সুমি বলেন, সরেজমিন গণশুনানি করে উভয়পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা, সঠিক মালিকানা স্বত্বের প্রমাণপত্র এবং দখল অনুযায়ী ডিজিটাল জরিপের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দীন হায়দার জানান, মালিকানা কাগজ যাচাই করেই জরিপ কাজ সম্পন্ন করা হবে। মালিকানা জটিলতার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হবে।
No comments