কালিহাতীতে ঝড়ে ১০টি ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত ॥ গাছ পড়ে নারী নিহত
রাইসুল ইসলাম লিটন :
টাঙ্গাইলের কালিহাতী পৌরসভার সালেংকা চকপাড়া শ্মশান ঘাট এলাকায় বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে ১০-১২টি ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে কাজুলী রানী দাস(৩৫) নামে এক রেমিটেন্স যোদ্ধা নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের সুশীল চন্দ্র দাসের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে সালেংকা এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। মুহূর্তের তান্ডবে স্থানীয় ১০-১২টি ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ওই ঝড়ে সালেংকা গ্রামের আশরাফ, স্বপন, শমসের, শংকর, হুমেরা, মজনুসহ অনেকেই মুহূর্তের মধ্যে বাস্তুহারায় পরিনত হন। চকপাড়া শ্মশান ঘাট এলাকার সুশিলা রানী দাসের ঘরের ওপর একটি গাছ ভেঙে পড়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে পরিবারের সবাই ঘরের নিচে চাপা পড়েন। ভেঙে পড়া গাছের নিচে চাপা পড়ে প্রবাস ফেরত কাজুলী রানী দাস মারা যান। পরে কালিহাতী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তাদেরকে উদ্ধার করে।নিহতের বড় বোন সুশিলা রানী দাস জানান,
কাজুলীর স্বামী তাকে ভরণপোষন না করায় প্রায় দুই বছর ধরে তাদের বাড়িতেই
থাকতেন। এর আগে কাজুলী রানী দাস বিদেশ (জর্ডান) ৩-৪ বছর গৃহকর্মীর কাজ করে
দেশে ফিরে এসেছে। ২-৩ দিন পরে পুনরায় অন্য একটি দেশে যাওয়ার কথা ছিল।
কাজুলি সে দেশের ভিসাও পেয়েছিলেন। রাতে ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে পেছনের একটি গাছ
ভেঙে ঘরের ওপরে পড়লে অন্যরা সরে গেলেও গাছটি ঘরের চাল নিয়ে কাজুলীর ওপরে
পড়ে। এতে তার মৃত্যু হয়।
কালিহাতী ফায়ার সার্ভিসের
ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন মোড়ল জানান, বৃস্পতিবার রাত সাড়ে
১০ টার দিকে কালিহাতী পৌরসভার সালেংকা চকপাড়া শ্মশান ঘাট এলাকায় ঘরের ওপরে
গাছ পড়ে এক নারী নিহত হন। তাঁরা দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫-১০ মিনিটের
প্রচেষ্টায় একটি ইউক্যালিপ্টাস গাছের নিচ থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে
পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
কালিহাতী পৌরসভার
মেয়র মোহাম্মদ নুরুন্নবী সরকার সরেজমিন পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা
করে পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এ
ঘটনায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের পক্ষ থেকে নিহত
রেমিটেন্স যোদ্ধা কাজুলির পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে ১০ হাজার টাকা আর্থিক
অনুদান দেওয়া হয়েছে।
No comments