নিউ ইয়র্কে প্রবাসীদের নজর কেড়েছে বাংলাদেশি চিত্রশিল্পীর আঁকা ছবি - TangailTimes24
  • সংবাদ শিরোনাম

    নিউ ইয়র্কে প্রবাসীদের নজর কেড়েছে বাংলাদেশি চিত্রশিল্পীর আঁকা ছবি

    ইমা এলিস, নিউ ইয়র্ক: 

    যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের প্রবাসীদের নজর কেড়েছে বাংলাদেশি চিত্রশিল্পীর আঁকা ছবি। বাংলাদেশি অধুষ্যিত জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় একটি দেয়ালে ছবি এঁকেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান চিত্রশিল্পী জিহান ওয়াজেদ। 

    নিউ ইয়র্কে প্রবাসীদের নজর কেড়েছে বাংলাদেশি চিত্রশিল্পীর আঁকা ছবি
     

    ডাইভারসিটি প্লাজায় অবস্থিত মুনলাইট গ্রিল নামক এক রেস্তোঁরার দেয়ালে বাংলাদেশের গ্রামীণ চিত্র যেমন নদী, জল ও জাতীয় ফুল শাপলাকে এঁকে সবার প্রশংসিত হয়েছেন। তার এই চিত্রকর্মের মাধ্যমে তুলা ধরা হয়েছে এক টুকরো বাংলাদেশকে। চিত্রে রয়েছে নদী, জল, বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা এবং একটি মেয়ে নৌকায়। নৌকায় বসে মেয়েটি শাপলা কুড়াচ্ছে। চমৎকার শিল্পকর্মটি সবার দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে। ভিন্নদেশিরাও থেমে থেমে একনজর দেখছেন চিত্রে আঁকা বাংলাদেশকে। নয়নকাড়া এই শিল্পকর্মটি তৈরির পেছেনে উদ্যোগ নেয় অর্থপ্রেরণকারী প্রতিষ্ঠান ট্যাপট্যাপ। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলা সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।


    শিল্পকর্মটি তৈরি শেষে গত শুক্রবার বিকালে এটি উদ্বোধন করা হয়। ট্যাপট্যাপের যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা নওশীন খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান, অ্যাসেম্বলিম্যান স্টিভেন রাগা, জেসিকা রামোশ গঞ্জালেস, শিল্পী জিহান ওয়াজেদ, মুনলাইট গ্রিলের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মাসুম, নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়রের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মান, জেবিবিএ’র প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট এবং অ্যাসেম্বলিম্যান ডেভিড উইপ্রিনের প্রতিনিধি মোফাজ্জল হোসেন।

     নওশীদ খান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এবং আমেরিকার অন্যান্য সিটিতে বাংলাদেশের কোনো মুর‌্যাল নেই। তাই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি এই মুর‌্যাল করার জন্য। আমরা বাংলাদেশবে হৃদয়ে লালন করি, আজকে তারই প্রতিচ্ছবি এখানে তুলে ধরা হলো। ধন্যবাদ জানাই শিল্পী জিহান ওয়াজেদ এবং মুনলাইটের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মাসুমকে। শিল্পী শিল্পকর্মটি তৈরি করেছেন আর মোহাম্মদ মাসুম আমাদের সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশকে হুদয়ে ধারণের পাশাপাশি দেশে উন্নয়নে বা প্রিয়জনের কাছে অর্থ প্রেরণের জন্য টেপটেপ ব্যবহারের আহ্বান জানান।


    শেখর কৃষ্ণান বলেন, এই মুর‌্যাল আমাদের সিটিকে আরো সুন্দর করেছে। এর শিল্পকর্মের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে খুঁজে পাবো। ইমিগ্র্যান্ট কমিউনিটিকে খুঁজে পাবো। তিনি বলেন, নিউইয়র্ক সিটি হচ্ছে সব বর্ণের এবং ধর্মের মানুষের সিটি। এই সিটিকে আমরা আরো ডাইভার্স করতে চাই। তিনি সুন্দর আর্টের জন্য শিল্পীর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং টেপটেপ কর্মকতাদের ধন্যবাদ জানান।
    স্টিভেন রাগা বলেন, এই ধরনের শিল্পকর্মের জন্য আমাদের সিটিতে আরো জায়গা খুঁজে বের করা প্রয়োজন। কারণ এই শিল্পকর্মের মাধ্যমে আমরা যেমন একটি দেশকে দেখাত পাই, তার পাশাপাশি সিটিকে সুন্দর করতে চাই।


    রিমি রশীদ বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল এক টুকরো বাংলাদেশকে উপস্থাপন করা। আমরা বলতে চাই আমরা বাংলাদেশকে ফেলে আসিনি, আমরা বাংলাদেশকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি। তিনি আরো বলেন, এই শিল্পকর্ম দেখে অনেকেই বাংলাদেশের কথা বলবে, বাংলাদেশকে স্মরণ করবে। তিনি টেপটেপ অ্যাপসের মাধ্যমে বাংলাদেশে অর্থ প্রেরণের আহ্বান জানান।


    জিহান ওয়াজেদ বলেন, আমি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত একজন আমেরিকান শিল্পী। আমি বাংলাদেশকে জানি, বাংলাদেশি কমিউনিটিকে জানি, বাংলাদেশি কালচারকে জানি। আমার লক্ষ্য থাকবে মূলধারার কাজের পাশাপাশি বাংলাদেশকে উপস্থাপন করে আমাদের কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করা।


    মোহাম্মদ মাসুম বলেন, আমার কাছে যখন বাংলাদেশের এই শিল্পকর্মটি উপস্থাপন করা হয় আমি বিনা বাক্যে রাজি হয়ে যাই। কারণ আমরা আমোরিকার পাশাপাশি বাংলাদেশকেও ভালোবাসি।


    বক্তব্য শেষে কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণানসহ অন্যান্য অতিথিরা ফিতা কেটে মুর‌্যালের উদ্বোধন করেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে অতিথি শিল্পী এবং মুনলাইট গ্রিলের মালিককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
    উল্লেখ্য, ট্যাপট্যাপ বাংলাদেশে অর্থপ্রেরণকারী একটি প্রতিষ্ঠান। ট্যাপট্যাপ সময় এবং ঝামেলা থেকে গ্রাহকদের মুক্ত করেছে। ঘরে বসেই কম্পিউটার বা ফোনের মধ্যে ট্যাপট্যাপের অ্যাপস ডাউন লোড করে বাংলাদেশে নিরাপদে প্রিয়জনের কাছে অর্থ প্রেরণ করা যায়।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728